বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ? বিজ্ঞানের অশুভ দিক এবং শুভঃ দিক গুলি

বিজ্ঞান মানবসভ্যতার এক অমূল্য সম্পদ। এর অগ্রগতি মানুষের জীবনকে যেমন সহজ করেছে, তেমনি কিছু ক্ষেত্রে তৈরি করেছে নানা জটিল সমস্যাও। বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ? এই প্রশ্নটির উত্তর নিয়ে আজকের পোস্ট এই ধরনের প্রশ্ন গুলি অনেক পরিক্ষার জন্য ইম্পর্ট্যান্ট হতে পারে।

বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ? বিজ্ঞানের অশুভ দিক এবং শুভঃ দিক গুলি

“সভ্যতা ধরেছে আগেই বিজ্ঞানের হাত 

রাত তাই দিন হল, দিন হল রাত।”

ভূমিকা: 

বিজ্ঞানের এত উন্নতি সত্বেও সভ্যতার কপালে দুশ্চিন্তার কালো রেখা।বিজ্ঞানের জয়যাত্রার মাঝে একদিকে সৃজন ও অন্যদিকে ধ্বংস।বিজ্ঞানের মারণযজ্ঞ এস্ত মানুষ তাই প্রশ্ন তুলেছে— ‘বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ?

কাল থেকে কালান্তরে: 

মানুষ যেদিন আগুন জ্বালতে শিখল, প্রকৃত অর্থে সেইদিনই সভ্যতার প্রদীপ জ্বলল। সভ্যতার ক্রমবিকাশে দেখা দিল নব নব বৈজ্ঞানিক আবিস্কার। বিজ্ঞানকে নিজের প্রয়োজনে কাজে লাগিয়ে, নিজ উদ্দেশ্য সাধন করছে মানুষ।বিজ্ঞান এই অর্থে মূলত মানব কল্যান মুখী।

বিজ্ঞান বনাম মানুষ: 

জীবনের নানা ক্ষেত্রে জীবন আমাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে চলেছে। ‘কিন্তু বিজ্ঞান মানুষ কে দিয়েছে বেগ কেড়ে নিয়েছে আবেগ।’ অতিরিক্ত বিজ্ঞান নির্ভরতা মানুষ কে পঙ্গু করেছে। যন্ত্র সভ্যতার মানুষ আজ যন্ত্রতুল্য।মানুষ তার মনুষ্যত্ব হারাতে বসেছে।

বিজ্ঞানের অশুভ দিক: 

বর্তমান যান্ত্রিক সভ্যতায় পাশবিকতা রয়েছে যে, বিজ্ঞান নিয়ত মানুষের কল্যাণ কর্মে রত, সেই বিজ্ঞানকেই মানুষ লাগিয়েছে এই সুন্দর সৃষ্টিকে ধ্বংসের কাজে। 

খাদ্য ও ওষুধে ভেজাল, মারণাস্ত্রের আবিস্কার, নিত্যনতুন অশুভ আনবিক শক্তির উদ্ভাবনে মানুষ এখন এত পরিপক্ক যে একটি ছোট্ট বোতাম টিপলেই মহূর্তেই পৃথিবীর একটি বৃহত্তম অংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। 

মঙ্গল ও শুভ বুদ্ধি: 

বিজ্ঞানের ধ্বংস লীলার জন্য বিজ্ঞান দায়ী নয়, দায়ী মানুষ বিজ্ঞান যদি মানুষের শুভ বুদ্ধির দ্বারা পরিচালিত হয়, তাহলে বিজ্ঞান কেবল মাত্র মানব কল্যানি রুপে ভৃত্য হয়েই থাকবে। আইনস্টাইন বলেছেন, ‘Religion without science is lame, science without religion is dead.’ তাই শুভ বুদ্ধির দ্বারা পরিচালিত বিজ্ঞান মানব কল্যানে ব্রতী হয়ে আশীর্বাদ রুপে দেখা দেবে। 

উপসংহার: 

মানুষ যদি মানুষ হয়, বিজ্ঞানকে যদি মানব কল্যানে প্রয়োগ করতে পারে, তাহলে বিজ্ঞান হবে আশীর্বাদ। আর যদি অমানুষ হয়ে বিজ্ঞানকে ধ্বংসের কাজে প্রয়োগ করে, তাহলে বিজ্ঞান হয়ে ওঠবে অভিশাপ। এই জন্য জৈনিক কবি বিজ্ঞানের হয়ে দুঃখ করে বলেছেন-

“বিজ্ঞান বলে দোষ কি আমার 

কেন মিছে দাও গালি।

প্রয়োগের গুণে সুন্দর মুখে 

তোমরা মাখাও কালি।”

আরও পড়ুন

  • বৃক্ষচ্ছেদন ও তার প্রতিকার Read →
  • নবজাগরণের পথে বাংলার লোক সংস্কৃতি Read →
  • রক্তদান জীবনদান প্রবন্ধ Read →
  • ফেসবুক : সোশ্যাল মিডিয়া রচনা Read →
  • করোনাকালে অনলাইন শিক্ষা Read →
  • YouTube-এর গুরুত্ব, সুফল, কুফল Read →
  • ডেঙ্গি একটি ভয়াবহ রোগ Read →
  • প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ছাত্রসমাজ Read →
  • বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ? বিজ্ঞানের অশুভ দিক এবং শুভঃ দিক গুলি Read →
  • বিজ্ঞান ও কুসংস্কার বাংলা প্রবন্ধ রচনা Read →
  • তোমার প্রিয় কবি বাংলা প্রবন্ধ রচনা Read →
  • মাতৃভাষায় বিজ্ঞানচর্চা বাংলা প্রবন্ধ রচনা Read →
  • তোমার প্রিয় চলচ্চিত্র : পথের পাঁচালী বাংলা প্রবন্ধ রচনা Read →
  • ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য বাংলা প্রবন্ধ রচনা Read →
  • একজন আদর্শ স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বাংলা রচনা Read →
  • মোবাইল ফোন বাংলা প্রবন্ধ রচনা Read →
  • বিশ্ব উষ্ণায়ন বাংলা প্রবন্ধ রচনা Read →
  • বিজ্ঞানী আবদুল কালাম বাংলা রচনা Read →
  • করোনা ভাইরাস বাংলা রচনা Read →
  • সাহিত্যপাঠের মূল্য বাংলা রচনা Read →
  • বইপড়া বাংলা রচনা Read →
  • বইপড়া বাংলা রচনা Read →

Leave a Comment

error: Content is protected !!